Ameen Qudir
Published:2018-01-31 18:38:38 BdST
এককোটি টাকারও কমে বারিধারা বসুন্ধরায় জমিসহ ডুপ্লেক্স বাড়ি করতে পারেন আপনিও
কাস্টমাইজড ভিত্তিতে এমন সব বাড়ি এখন বাংলা দেশের প্রকৌশলী রা নির্মাণ করে দিচ্ছেন। বিভিন্ন কম্পানি ২/৩ মাসে রেডি করার অফার দিচ্ছেন। অবিশ্বাস করবেন না। নিজেরাই খোঁজ ও যাচাই করুন। ফোন নম্বর দেয়া আছে। দেখে আসুন একবার কষ্ট করে।
ডা. শাকের উল্লাহ
_________________________
অামরা ডাক্তারসমাজসহ মধ্যবিত্ত পেশাজীবীরা একটি নিজস্ব বাড়ির জন্য বড়ই আপসোস করি।
সাধারণ নিন্দাপ্রিয় মানুষের মধ্যে ডাক্তারদের পয়সাঅলা কসাই ডাক্তার বলে মিথ্যা প্রপাগান্ডা রয়েছে।
বাস্তব কঠিন সত্য হল, ঢাকা শহরের বেশীর ভাগ ডাক্তারেরই কোন বাড়ি নেই।
বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে শুক্র শনিবার গাধার মত পরিশ্রম করে অনেকে হয়তো ঢাকায় ১৪০০/ ১৫০০ স্কোয়ার ফিটের ফ্লাট করেছেন; তাদের সংখ্যাও হাতে গোনা।
এই কঠিন বাজারের বাস্তবতায় আমি অনেক চিন্তা ভাবনা করে ঢাকা শহরে বারিধারা বসুন্ধরায় কোটি টাকার কমে ডুপ্লেক্স বাড়ির প্লান বের করেছি। আমার এক প্রকৌশলী বন্ধু এই পরামর্শ সবিস্তারে দিয়েছেন।
বুয়েট থেকে পাশ করা ওই সিনিয়র প্রকৌশলী জানান, বর্তমানে ঢাকার বারিধারা বসুন্ধরায় এন ও পি ব্লকে অতি সস্তায় রেডিমেড জমি বিক্রি হচ্ছে।
গত ৭/৮ বছর ধরে জমির দাম বিশেষ বাড়ে নাই।
সেখানে তিনকাঠার একটি প্লট কেনার পরামর্শ দেন তিনি।
তাতে সর্বমোট ৭০ লাখ টাকা খরচ হবে। বিক্রয় ডটকম সহ নানা ওয়েব সাইটে জমি সুলভ।
তারপর তার অন্য পরামর্শ শুনে সত্যিই আমি অবাক। থাইল্যান্ডর প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকায় মাত্র দুই মাসে ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ সম্ভব।
২০০০ স্কয়ার ফিটের
এসব রেডিমেড বাড়ি নির্মাণে খরচ ২২-২৬ লাখের বেশী পড়বে না। লিডস, বিশ্বাস বিল্ডার্সসহ বিভিন্ন কোম্পানি এসব মজবুত বাড়ি নির্মাণের কাজ করছে।
প্রকৌশলী আমাকে বলেন , এটা কোন ভাওতাবাজি নয়। বাংলাদেশের প্রকৌশলীরাও এখন কম মূল্যে বাড়ি নির্মাণের নানা প্রযুক্তি আবিস্কার করেছেন। এসব বাড়িকে কাস্টমাইজড বাড়ি বলা হয়।
আগ্রহীরা হাতে কলমে লিডস , বিশ্বাস বা অন্য যেকোন কোম্পানির মাধ্যমে বাস্তবতা পরখ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
প্রকৌশলী জানান, বসুন্ধরায় পাইলিং লাগে সত্য। কিন্তু এসব সুলভ ডুপ্লেক্স কিভাবে মজবুতভাবে তৈরী করে দেবেন , সেটাও কম্পানির মাথাব্যথা। আপনার কাজ হল শুধু সিদ্ধান্ত নেয়া এবং এ বিষয়ে নিজ দায়িত্বে খোঁজ খবর করা।
সবার দোয়া খায়ের নিয়ে আমি নিজে একটি বাড়ি করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে জমি কেনা হয়ে গেছে। একটি থাইবাংলা কোম্পানির সঙ্গে বাড়ি করার যোগাযোগ করেছি। তারা সবকিছু আমাকে বুঝিয়ে দেবে। তারা ছবির ডুপ্লেক্সটি আমাকে বানিয়ে দেবে। সর্ব সাকুল্যে জমি সহ আমার এক কোটি টাকাও খরচ হবে না। বিশ্বাস না হয়, নিজেরাও খোজ খবর করে দেখুন। ওপেন চ্যালেঞ্জ।
আগামীকে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট লিখে জানাব।
আপনার মতামত দিন: