Ameen Qudir
Published:2017-09-07 17:06:22 BdST
বাংলাদেশের ডাক্তারদের নৈপূণ্যে তোফা ও তহুরা হাসছে, হাসছে তার মাও
সংবাদদাতা
___________________________
তোফা ও তহুরা আগামী সপ্তাহ নাগাদ হাসপাতাল থেকে বাড়ি যেতে পারবে । শারীরিকভাবে তাদের কোনো জটিলতা নেই । তারা সুস্থ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসিমুখে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক সাহনূর ইসলাম। তাঁর অধীনেই এই যমজ বোন ভর্তি আছে।
পিঠের নিচ থেকে কোমরের নিচ পর্যন্ত পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে জন্মেছিল তোফা-তহুরা। ১ আগস্ট হাসপাতালের ২০-২২ জন চিকিৎসকের নয় ঘণ্টার যুদ্ধ শেষে এই শিশুদের আলাদা করা হয়েছে।
প্রায় ১১ মাস পার করা গাইবান্ধার তোফা ও তহুরা ভালো আছে। তোফা-তহুরা জোড়া লাগানো ছিল চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘পাইগোপেগাস’।
বাংলাদেশে ‘পাইগোপেগাস’ শিশু আলাদা করার ঘটনা এটি প্রথম। এর আগে অন্যান্য হাসপাতালে অন্য ধরনের জোড়া লাগানো শিশুদের অস্ত্রোপচার করে আলাদা করা হয়।
সাহনূর ইসলাম বললেন, গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতি একটু উন্নতির দিকে গেলেই তোফা ও তহুরাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। যাওয়ার আগে ওদের বাবা-মায়ের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থারও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার হাসপাতালের কেবিনে গিয়ে দেখা যায় তোফা ও তহুরা ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছে। চোখে-মুখে খানিকটা বিরক্তি। তবে রুমের মধ্যে মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে আস্তে আস্তে তাদের দুষ্টুমির মাত্রা বাড়তে থাকে। দুই মেয়েকে কোলে নিয়ে সামলাতে না পেরে তোফা ও তহুরার মা শাহিদার মুখে তৃপ্তির হাসি। সেখানে থাকা সাহনূর ইসলামের কাছে এই মা জানতে চাইলেন, মেয়েরা বসতে পারবে তো?
সাহনূর ইসলাম হাসিমুখে বললেন, মেয়েরা বসবে। হাঁটবে। মেয়েরা যেভাবে হাত-পা নাড়ছে তা দেখিয়ে শাহিদাকে বিছানার পাশে বালিশ দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। তা না হলে নিচে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। অস্ত্রোপচারের আগে তোফা-তহুরার দুজনের ওজন ছিল ১০ কেজি। এখন ওজন খানিকটা বেড়েছে। একেকজনের ওজন প্রায় ছয় কেজি।
আপনার মতামত দিন: