Ameen Qudir

Published:
2018-09-19 16:57:39 BdST

বিশ্বমানের হাসপাতাল করার পাইওনিয়ার ডা. শামীম এবার পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল করছেন 


 

ডেস্ক রিপোর্ট
________________________

ডা. এ এম শামীম, ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বাংলাদেশে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক হাসপাতাল করার পাইওনিয়ার উদ্যোক্তা । 
২০০৪ সালে দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কার্ডিয়াক হাসপাতাল করার পাইওনিয়ার। এবার তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের।

মিডিয়াকে এক সাক্ষাতে একথা জানান তিনি। বলেন,
ক্যান্সার নিয়ে আমার স্বপ্ন অনেক দিনের। ১২-১৩ বছর ধরে আমরা লক্ষ করছি, একজন মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হলে তাকে চিকিৎসা, ইনভেস্টিগেশন, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করতে হয়। চিকিৎসার সক্ষমতা নিয়েও হতাশা আছে। তিনি আত্মবিশ্বাসী। বলেন, আমাদের পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতালটি ওয়ান স্টপ সার্ভিসের পাশাপাশি বিশ্বমানের টেকনিক্যাল সক্ষমতাও নিশ্চিত করবে।

ডা. এ এম শামীম বলেন,
ক্যান্সার চিকিৎসায়ও আমাদের চিকিৎসকরা ভালো করছেন। তবে এখনো এটিকে বিশ্বমানের বলা যাবে না। গত ১৫-২০ বছরে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক প্রশিক্ষিত চিকিৎসক তৈরি হয়েছে। কিন্তু সুযোগের অভাবে তারা এক জায়গায় বসে চিকিৎসা দিতে পারছেন না। অভাব রয়েছে অন্যান্য সাপোর্টেরও। এসব ঘাটতি পূরণ করব।

ডা. এ এম শামীম বলেন,

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন হয়। লিম্ফোমা, লিউকেমিয়া অর্থাৎ ব্লাড রিলেটেড ক্যান্সারের ফাইনাল চিকিৎসা কিন্তু বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে করা হয়। ভারতে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন করতে গেলে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়, ব্যাংককে ৫০ লাখ এবং সিঙ্গাপুরে প্রায় কোটি টাকা। এ কাজটিই ঢাকায় অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে মাত্র ৩ থেকে ৬ লাখ টাকায় হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে এখন পর্যন্ত ৭০ থেকে ৮০টা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন হয়েছে। তাদের সফলতার হার প্রায় ৯৬ শতাংশ।

ডা. এ এম শামীম বলেন,
আমরা হিসাব করে দেখেছি, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে প্রাইভেট সেক্টরে খরচ পড়বে ১০ লাখ টাকা। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে ২৪ থেকে ২৫ হাজার মানুষের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন প্রয়োজন। অন্যথায় তারা দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে মারা যাবে। এ রোগীদের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে সক্ষম। অর্থাৎ আমাদের রোগী আছে, এখন শুধু ফ্যাসিলিটিটা দরকার।
পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতালে অন্যান্য ক্যান্সারের চিকিৎসাও হবে।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়