Ameen Qudir
Published:2018-09-11 17:42:22 BdST
'বাবা ৫৮ সালে ২ টাকা থেকে ৯৮ সালে ১০০ টাকায় রোগী দেখেছেন: মানুষ করেন ৮ সন্তানকে'
লেখকের ছবি
ব্রিগেডিয়ার ডা.নাসির উদ্দিন আহমেদ
_________________________________
আমি গ্রামে বড় হয়েছি।আমি অভাব দেখেছি,শোষন দেখেছি।আমার বাবা এম.বি.বি.এস ডাক্তার ছিলেন।৫০ বছর প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেছেন।১৯৫৮ সালে ২ টাকা থেকে ১৯৯৮ সালে ১০০ টাকায় রোগী দেখেছেন।
ঢাকায় শেষ বয়সে দুটি ফ্লাট কিনেছেন।গাড়ি কিনতে পারেন নি।১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্তু এম পি ছিলেন।আট ভাই বোন কে মানুষ করেছেন।আত্মীয়স্বজন, এলাকায় মানুষকে অনেক সাহায্য করেছেন।সাদামনের সৎ মানুষ ছিলেন।নিজ এলাকাতে শিক্ষা বিস্তারে নিজের সব জমি বিক্রি করেছেন।
ওনার মৃত্যু পরবর্তী জানাযায় লক্ষ লক্ষ লোক শরীক হয়েছেন। এটাই ওনার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি।
আমি সেনাবাহিনীতে অফিসার পদে ১৯৮৮ সালে যোগদান করি।সেনাবাহিনীর নিয়ম ও শৃংখলা মেনে সুনামের সাথে এত বছর চাকুরী করেছি।আমি তিনবছর বিদেশ মিশনে চাকুরী করেছি।তাই আর্থিকভাবে অতটা দূর্বল নই।আমি সিভিল সেক্টরে ২ বছর ১১ মাস ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক হিসেবে কাজ করছি।
আমি বিবেক থেকে কাজ করি।খ্যাতির লোভে করি না।দানশীল হিসাবে নিজকে কখনও প্রচার করতে চাই না।এ শহরে আমার কোন আত্নীয় স্বজন নেই।আমার কোন ব্যক্তিগত এজেন্ডা নেই।কোথায়ও যাই না বিতর্কিত হবার ভয়ে।সেনানিবাসে নিভৃতে থাকি একা।আল্লাহই একমাত্র অভিবাবক। পোস্টিং হলে হয়তো ময়মনসিংহ কোন দিন আসব কিনা জানি না!!
আমার কাছে অনেকেই আর্থিক সাহায্যের জন্য আসেন।এ টাকাটা আমার নিজের। এ কথা বলতে দ্বিধা নেই আর্থিক সাহায্য করতে গিয়ে অনেকটা নিজকে ও পরিবারকে বঞ্চিত করেছি সারাজীবন।আমি যেটা কাউকে সাহায্য হিসেবে দেই সেটা সরকারি কোন ফান্ডের না।সরকারি কোন টাকা আমার নিজ ব্যক্তিগত প্রয়োজন এ ব্যায় করি না।
আমার চাকুরী শেষ হলে চাকুরী বা অন্য কোন কাজ করেই সংসার চালাতে হবে। বর্তমানে আমি সাহায্য করার মত অবস্থায় নেই।দয়া করে আমাকে আর বিব্রত করবেন না।মেসেজ দিবেন না।চাকুরি দেবার জন্য বিব্রত করবেন না। সবাই ভাল থাকুন।দোয়া প্রার্থী।
__________________________________
ব্রিগেডিয়ার ডা.নাসির উদ্দিন আহমেদ,
পরিচালক
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
আপনার মতামত দিন: