Ameen Qudir

Published:
2018-09-06 19:59:46 BdST

ময়মনসিংহে দুজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বিরুদ্ধে হলুদ সাংবাদিকদের কোটি টাকার ব্লাকমেলিং মিশন


 

 

বিশেষ লেখা
___________________________

ময়মনসিংহে দুজন সিনিয়র বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কন্ঠে এখন " বাঁচাও বাঁচাও " আহাজারি। তারা হলুদ সাংবাদিকদের কোটি টাকার ব্লাকমেলিংএর হুমকির শিকার হয়ে রীতিমত জীবন নিয়ে আতঙ্কে। একজন চিকিৎসক সংখ্যালঘু হওয়ায় তিনি হলুদ সাংবাদিকদের মূল টার্গেটে পরিনত হয়েছেন।
এ নিয়ে ইনটারনেট মিডিয়ায় বিক্ষিপ্ত লেখালেখি হওয়ায় দুজনই মারাত্মক হুমকিবাজির শিকার হচ্ছেন। এ কারণে তাদের শুভানুধ্যায়ীরা বিশেষ অনুরোধ করেছেন ,তাদের নাম প্রকাশ না করে তাদের সুরক্ষার জন্য ডাক্তার প্রতিদিনে একটি লেখা প্রকাশ করতে।


শুভানুধ্যায়ীরা এ ব্যাপারে কিছু তথ্য ও লেখা পাঠিয়েছেন। তার ভিত্তিতেএই লেখা।

পুরো ঘটনা এখন ময়মনসিংহে টক অব দি টাউন। হলুদ সাংবাদিকরা টাকার জন্য হন্যে। তারা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিস্তারিত ক্ষতিকর রিপোর্ট ছেপে ডাক্তার দুজকে ভয় ভীতি দে খাচ্ছেন । তাদের বক্তব্য, যদি তাদের সিন্ডিকেটকে এক কোটি টাকা দেয়া হয়,তবে সিন্ডিকেট রিপোর্টিং হবে না।
এ বিষয়ে দেশের সকল জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ময়মনসিংহের ওই দুই ডাক্তারের বিরুদ্ধে রিপোর্ট ছেপে ব্লাকমেলিং চক্রকে সহায়তা করবেন না।

ওয়াকিবহাল নিরপেক্ষ সাংবাদিকরা জানান, কোন কারণে রোগীর মৃত্যু হলেই গাফিলতির অভিযোগ তুলে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে লাখ লাখ টাকার ব্লাকমেলিং হলুদ সাংবাদিক সিন্ডিকেটের ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন কোন জাতীয় দৈনিকের ঢাকাস্থ কর্মকর্তারাও এই চক্রের উপহার পেয়ে তাদের সহায়তা করেন। অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তারদের জিম্মি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রও হয় । এমনি এক মেগা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন ময়মনসিংহের দুজন স্বনামধন্য ডাক্তার। একজন হলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগের খ্যাতনামা ডাক্তার। অন্যজন হলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জন ও সহকারি অধ্যাপক ।

গত মাসে ময়মনসিংহ শহরের এক ব্যবসায়ীর শিশুকন্যার তলপেটে ব্যথা হলে ওই দিন বিকেল সাড়ে তিনটায় গাইনি ডাক্তারের চেম্বারে যান। ডাক্তার পর্যবেক্ষণ করেন ও মেডিকেল টেস্ট এর রিপোর্ট দেখে অ্যাপেন্ডিসাইটিস বা এর কোন কমপ্লিকেশন বলে মনে করেন এবং তিনি একজন ভাল সার্জনের শরণাপন্ন হতে বলেন। কিন্তু শিশুর পিতা ওই ডাক্তারের মালিকানাধীন হাসপাতালে সন্তানকে ভর্তি রেখে সার্জন এর মাধ্যমে অপারেশনের ইচ্ছে পোষণ করেন। পরে স্বেচ্ছায় তার শিশু কন্যাকে সার্জনকে দেখান এবং তার তত্ত্বাবধানে বাচ্চাটিকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করান । পরে ডা. অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর অপারেশন করেন। অপারেশনের দুই ঘন্টা পর শিশুর জ্ঞানও ফিরে। তখন উদ্বিগ্ন ডাক্তার শিশুটির শারিরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও একটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার এর আইসিসিউ’তে ভর্তির জন্য যোগাযোগ করেন।

কিন্তু শিশুর বাবা সন্তানকে স্বেচ্ছায় শহরেরঅন্য এক হাসপাতালেল আইসিইউতে ভর্তি করান এবং ভর্তি করার ২০ মিনিট পর শিশুর মৃত্যু ঘটে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ময়মনসিংহের একশ্রেণিরহলুদ সাংবাদিক অসাধু ব্যক্তি সুযোগ পেলেই সমাজসেবা ও সামাজিক আন্দোলনের নাম করে যেকোন ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে ধান্দার অপচেষ্টা চালায়। তেমনি করে শিশুর মৃত্যু নিয়েও ওই চক্রটি শুরু করেছে গভীর ব্লাকমেলিং ষড়যন্ত্র। অথচ, শিশুর বাবা তার মেয়ের মৃত্যুতে অভিযোগ না তুললেও ওইসব ছদ্মবেশী অসাধু ব্যক্তিরা বিচারের নামে কোটি টাকার বাণিজ্য মিশনে নেমেছে। চক্রটি ইতোমধ্যে শহরের কিছু অসৎ চক্রের যোগসাজশে দুই ডাক্তারকে মিথ্যা ও বানোয়াট পন্থায় ফাঁসাতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেয়ার কাজটিও হাতে নিয়েছে। তাদের মধ্যে এমন কয়েকজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। যারা সামজিক আন্দোলনের নামে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এরা একজন মহিলা ডাক্তারের সম্মান নষ্ট করার জন্য ফটোশপে নোংরা ছবি বানিয়ে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। যা আইনত অপরাধ।

হলুদ সাংবাদিকদের একটি চক্র ডাক্তারদেরকে সমঝোতায় আসতে একটি প্রস্তাব দিয়েছে বলে সাংবাদিকদের একটি সূত্রে জানা গেছে। সংবাদিকদের মতে “ আন্দোলনকারীদের খরচের একটি অংশ দিলেও আন্দোলন থামানো যাবে , অন্যথায় আন্দোলন বড় আকার ধারণ করবে । জানা যায়, ওইসব সাংবাদিকদের সাথে আন্দোলনকারী কতিপয় সাংস্কৃতিক কর্মীদের কয়েকজনের দহরম মহরম ভাব রয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ডাক্তার নেতাদের বক্তব্য হল, ডাক্তারি কোন ভুল হলে সেজন্য আইন আছে। বিএমডিসি আছে। এধরণের ব্লাকমেলিং কোনভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়