Ameen Qudir

Published:
2018-07-20 03:02:53 BdST

'কোয়ান্টিটিকে কোয়ালিটির উপরে' তুলে ধরার অপপ্রয়াস থেকে আপাততঃ রক্ষা পাওয়া গেছে


লেখকের সৌজন্যে পাওয়া ছবি।


ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ
______________________________

আজ এইচএসসি'র ফল প্রকাশিত হয়েছে।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে,
সমসাময়িক কালের(বিগত কয়েক বছর) নিরীখে এবার আনট্রাডিশনাল ফল বিপর্যয় হয়েছে!
আমি অবশ্য এই বিপর্যয়কে বিপর্যয় হিসেবে দেখতে চাই না বরং এই বিপর্যয়ের মাঝেও আমি আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছি!

পরীক্ষার আগের রাতে পরীক্ষার্থীর হাতে প্রশ্ন তুলে দিয়ে এবং শিক্ষকদেরকে শিথিলভাবে খাতা নিরীক্ষণের নির্দেশনা দিয়ে জিপিএ ফাইভ বাড়ানোর যে জাতিবিধ্বংসী হিড়িক চালু হয়েছিলো তাতে করে অচিরেই যে আমরা জাতি হিসেবে এক অকালকুষ্মাণ্ড মাকাল ফলে পরিণত হতে যাচ্ছিলাম বোধ করি তাতে কারোরই সন্দেহ থাকার কথা নয়।

যাইহোক শেষ পর্যন্ত কারো না কারো টনক নড়েছে!
পতনের রাশ টানা গেছে।
গড্ডালিকা প্রবাহের ছন্দে পতন ঘটিয়ে জাতির পতন ঠেকানো গিয়েছে!!

অবস্থাদৃষ্টে আমাদের মধ্যে এমন প্রতীতিই জন্ম নিতে শুরু করেছিলো যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোয়ালিটি চায় না বরং তারা শুধু কোয়ান্টিটি চায়।
আমাদের এই ভাবনায় যে বিন্দুমাত্রও অতিরঞ্জন ছিলোনা বিগত বছরগুলোতে তা বারবার প্রমানিত হয়েছে।

যাইহোক শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাওয়া গেছে!
কর্তৃপক্ষের জ্ঞাতসারে 'কোয়ান্টিটিকে কোয়ালিটির উপরে' তুলে ধরার এই অপপ্রয়াস থেকে আপাততঃ রক্ষা পাওয়া গেছে -এটাই স্বস্তি।

আর এই স্বস্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে যারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে তাদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীকেই আমি শীর্ষে রাখতে চাই।
শিক্ষামন্ত্রনালয়ের চেয়ে তাদেরকেই আমি সবিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।

কারন বিগত বছরগুলোতে শিক্ষামন্ত্রনালয় যা করে দেখাতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনী গত এক বছরেই তা করে দেখিয়েছে।
প্রশ্নফাঁসরোধের চ্যালেঞ্জিং কাজটি তারা গতবছর বেশ সুচারুভাবেই সম্পন্ন করেছে।

এবার দেখা গেছে নটরডেম কলেজসহ দেশের ঐতিহ্যবাহী কলেজগুলো তাদের পুরোনো ধারায় ফিরে এসেছে। যারা প্রকৃত ট্যালেন্ট তারাই ফিল্টার পেরিয়ে সফলতা ছুতে পেরেছে।
কিছু হয়তো ব্যাতিক্রম আছে।
বাট এক্সেপশন কান্ট বি এক্সাম্পল।

যারা সফলতার তীরে তরী ভিড়িয়েছো তাদের সকলকে অভিনন্দন ও শুভ কামনা নিরন্তর।

________

আমিও এদেশের সাংঘাতিকদের মধ্যে প্রচলিত প্রথা ভাঙতে পারলাম না! তাই শুধু কয়েকজন মেয়ে পরীক্ষার্থীর ছবি ব্যাবহার করলাম।
এদেশে তো ছেলেরা পরীক্ষাও দেয় না, পাশও করে না!
তাই তাদের ছবি কোন পরীক্ষার রেজাল্টে আসে না!!
_______________________________

ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ
সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ;স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক;চিকিৎসক পরিষদ, বিএসএমএমইউ।

সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ,দিনাজপুর।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়