Ameen Qudir

Published:
2018-06-24 15:20:45 BdST

লাদাখেই আছে ‘চুম্বক পাহাড়’ : জ্বীনের পাহাড় বা অলৌকিক কিছু নয়



ডেস্ক __________________

২০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা বেগে সেই গাড়ি উপর দিকে ধাবিত হতে থাকবে। এহেন মজার কারণে ‘ম্যাগনেটিক হিল’ আজ একটি জনপ্রিয় পর্যটনক্ষেত্র।

 

চুম্বক পাহাড় কি সত্যি? ‘চুম্বক পাহাড়’বা ম্যাগনেটিক ফিল্ড বা হিল সারা বিশ্বেই রয়েছে নানা রহস্যময়তা। রয়েছে কুসংস্কারও। এই দৃষ্টি ভ্রমের পাহাড় বা রাস্তা নিয়ে নানা বানোয়াট গালগল্পও রয়েছে্; অনেকে জ্বীনের পাহাড়, গডস হিল: এসব নামেও ডাকে এসব পাহাড়কে। তবে মানুষ যতই কুসংস্কার মুক্ত হচ্ছে, ততই বেরিয়ে আসছে বিজ্ঞানভিত্তিক আসল রহস্য। আধুনিক মানুষ এসব বিশ্বাস ভিত্তিক স্থানকে কেন্দ্র করে বিশাল পর্যটন ব্যবসাও ফেঁদে বসেছে। কোথাও ম্যাগনেটিক কারণ আবার কোথাও নিতান্তই দৃষ্টিভ্রম মাত্র।

সামুদ্রিক কিংবদন্তিতে অসংখ্যবার উঠে এসেছে ‘চুম্বক পাহাড়’-এর কথা। তার আকর্ষণে নাকি নাটবল্টু-লোহালক্কড় খুলে বেরিয়ে জাহাজডুবি ঘটত। তেমন পাহাড়ের অস্তিত্ব সমুদ্রে রয়েছে কিনা জানা না গেলেও ডাঙায় যে অন্তত একখানি রয়েছে, তা জানা যায়। আর তা রয়েছে ভারতেই।

লাদাখের একটি পাহাড়কে ‘চুম্বক পাহাড়’ বলে ডাকা হয়। না, এর সেই কিংবদন্তির সামুদ্রিক পাহাড়ের মতো বিধ্বংসী ক্ষমতা নেই। এ যেটা করে থাকে, সেটাও কম আশ্চর্যের নয়। এই পাহাড়ের চূড়ার দিকে যে সড়ক গিয়েছে তা বরাবর গাড়ি চালিয়ে যেতে যেতে যদি কেই গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে দেন এবং গিয়ারকে নিউট্রাল পজিশনে রাখেন, তবে দেখ যাবে সেই গাড়ি খাড়া রাস্তা বেয়ে নিজে নিজেই চলতে শুরু করেছে। এবং তার গতি নেহাত মন্দ নয়। ২০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা বেগে সেই গাড়ি উপর দিকে ধাবিত হতে থাকবে। এহেন মজার কারণে ‘ম্যাগনেটিক হিল’ আজ একটি জনপ্রিয় পর্যটনক্ষেত্র।

কিন্তু আসলে সেখানে আদৌ কোনও চুম্বক পাহাড়ের অস্তিত্ব নেই। ওই এলাকায় যা ঘটে, তা একেবারেই দৃষ্টিভ্রম। ওই স্থানটিতে পাহাড়, রাস্তা ইত্যাদি এমন ভাবে অবস্থিত যে, এলাকাটিকে খাড়াই বলে মনে হয়। আসলে রাস্তাটি সমান্য উৎরাই-যুক্ত। সেই ঢালু পথ বেয়েই নিউট্রাল গিয়ারে থাকা গাড়িটি গড়াতে থাকে। দৃষ্টিবিভ্রমে মনে হয়, তা খাড়াই বেয়ে উপরে উঠছে।
বিশ্বের নানা দেশেও যেসব গালগল্প আছে, তার নেপথ্যেও একই দৃষ্টিভ্রম আছে বলে নানা আলোচনা আছে।

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়