Ameen Qudir

Published:
2018-04-21 23:00:55 BdST

'সত্যি গোপন না করে চিকিৎসা নিলে চিকিৎসাটা কি আরও ভাল হতে পারত না?'


 

ফাইল ছবি


ডা. আসিয়া চৌধুরী
________________________________

রুগীরা সবসময় চান নিজেরা কম্পেয়ার করতে,অথচ এটা তো ডাক্তার এর কাজ।জীবন নিয়ে কি আর কম্পেয়ার করা সাজে?
ধরুন আজ কোন রুগী ঔষধ খেয়ে আসেননি। কেন প্রশ্ন করলেই বলবেন দেখছিলাম না খেলে কি হয়?অথবা এত দিন ঔষধ খেলাম আজ খেলাম না তাতেই বেড়ে গেল!

কি লাভ হল।অথবা মিথ্যা বলা বা লুকিয়ে ফেলা যে তিনি ঔষধ খাননি।ডায়াবেটিস অথবা ক্রনিক কেয়ারের ক্ষেত্রে ডোজ মেইন্টেন করা খুব জটিল হয়ে পড়ে এই সব ক্ষেত্রে,যার দোষটা নিরুপায় ডাক্তারের ঘাড়ে গিয়ে পড়ে।জানিনা রুগীরা কি মজা পান।কথায় আছে মানুষ যখন অন্যের জন্য গর্ত খোঁড়ে তখন তাতে সে নিজেই পড়ে যায়।
রেডিওলোজিস্ট বা আল্টাসনোলজিস্ট দের ক্ষেত্রেও কম যায়না। রুগী দের অহেতুক টেস্ট দেয়ার দুর্নাম তো ডাক্তাররা মাথা পেতে নিয়েছেন।কিন্তু ভেতরের খবর কত জন রাখেন?

সম্মানিত রুগীরা একই টেস্ট ২/৩ জায়গায় করে নিজেই জেনে নিতে চান রিপোর্ট মিলল কিনা অথবা কোন ক্লিনিক টি ভাল!!!এর পর শুরু হয় লুকানোর পালা।আমি কিছু দিন প্রেগন্যান্ট রুগীর আল্ট্রা করতাম।আমার কাছে মনে হয়েছে তারা আসেন ই ছেলে হবে না মেয়ে হবে সেটা জানতে।আমি প্রথমে বলতাম না,বুঝিয়েছিও কিন্তু বাইরে গিয়ে রুগীরর লোকজন বলা শুরু করত ডাক্তার আসলে ধরতে পারেননি।কষ্ট পেতাম।আল্ট্রা করা ছেড়ে দিয়েছিলাম মন খারাপ করে।এখানেও লুকানোর একটা বাতিক ছিল।জানতে চাইলেও বলতনা আল্ট্রা করেছে।পরে রিপোর্ট দিলে ইডিডি মেলাত আমার সামনেই।

আমি-আমরা বা আপনারা পড়ালেখা করেই তো বড় হয়েছি,স্বশিক্ষিত। তারপরও তো সন্তান কে আমরা পড়তে স্কুল কলেজেই পাঠায়।কারন যে-যে কাজ করে সে-সে কাজে দক্ষ।হয়তবা কম আর বেশি,কিন্তু আপনি তো বিচক্ষন,একটু ভরসা করে সত্যি গোপন না করে নিজের সব কথা বলে চিকিৎসা নিলে চিকিৎসা টা কি আরও ভাল হতে পারত না?প্লিজ,একবার ভেবে দেখবেন।
_________________________________

ডা. আসিয়া চৌধুরী । সুলেখক।

Diabetic Association of Bangladesh,Chapai Nawabgonj

 

 

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়