Ameen Qudir

Published:
2018-03-10 19:25:27 BdST

যে রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি গাড়ি নেই : সেখান থেকে এক ডাক্তারের চিঠি



ডা. আশীস চিন্ময় , আগরতলা
___________________________

বাংলাদেশের সকল চিকিৎসক ভাইবোন, চিকিৎসা স্বাস্থ্য পর্ষদের সেবককর্মীদের ত্রিপুরা রাজ্যের চিকিৎসক পর্ষদের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। ডাক্তার প্রতিদিন মুখপত্রটি সত্যিই অনন্য উদ্যোগ হয়েছে। বাংলা ভাষায় এমন একটি মুখপত্র আছে , সেটা কুমিল্লার ডাক্তার বন্ধু সোহেলের মাধ্যমে জেনে অবাক হয়েছি। এই চিকিৎসক মুখপর্ষদের সঙ্গে জড়িত সকল লেখক কর্মীদের জানাই অভিনন্দন।

এবারে আমি ত্রিপুরা রাজ্যের কথা বলতে চাই। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মহান বীরদের আতিথেয়তা দিতে পেরে আমরা ত্রিপুরা বাসী গর্বিত বোধ করি।
গর্বিত বোধ করি ভারতবর্ষের ক্ষুদ্রতম স্বতন্দ্র রাজ্য হিসেবে।

এবার আমাদের আরেকটি শ্লাঘার বিষয়ে বলতে চাই। আমি রাজনীতি করি না সক্রিয়ভাবে। কিন্তু রাজনীতিসচেতন। ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে বাংলাদেশের সবাই ভালবাসেন , সেটা সবাই জানি। তিনি নির্মোহ নির্লোভ মানুষ। তাকে নিয়েও ত্রিপুরাবাসী আমরা সবাই গর্বিত বোধ করি।
তিনি সরল সাদাসিধে সততার মূর্ত প্রতীক। বর্তমান যুগে তা বিরল। আজ ত্রিপুরায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরার গৌরব সূর্য আজও দেদীপ্যমান। মানিকবাবু স্ত্রী পাঞ্চালি ভট্টাচার্যকে নিয়ে তার দল সিপিএমের রাজ্য অফিসে উঠেছেন বসবাসের জন্য।
কারণ কি জানেন । অবাক হবেন না। তার নিজের কোন বাড়ি নেই। একজন মুখ্যমন্ত্রী যিনি কয়েকদশক ক্ষমতায় ছিলেন , তার বাড়ি নেই। চলাফেরা করতেন রিকশায়।

 মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে বিদায় নিয়ে সরকারি বাসভবন ছাড়ার পর থাকার জায়গা নেই বলে দলীয় কার্যালয়ের অতিথি কক্ষে বসবাস শুরু করেন তিনি।
দলীয় কার্যালয়ের রান্নাঘরে নিরামিষভোজী এ নেতার খাবার তৈরি করা হচ্ছে।
মানিকবাবু সম্পদ হল, বই, পরণের কাপড় এবং কিছু সিডি ।
আজ বিদায় নিচ্ছি। বাংলাদেশের সকল ডাক্তারকে আগরতলায় আমন্ত্রণ। কোন দ্বিধা করবেন না। আপনাদের সকল বিপদে আপদে আমরা একাত্তর সালের মত পাশেই থাকব।
ইতি প্রনামসহ

ডা. আশীস চিন্ময় , আগরতলা

আপনার মতামত দিন:


কলাম এর জনপ্রিয়