Ameen Qudir

Published:
2016-12-29 23:31:25 BdST

ভোলায় আবার হাসপাতাল ভাংচুর তান্ডব


 

 

ডাক্তার প্রতিদিন
_____________________

ভোলা সদর হাসপাতালে রোগীর জীবন বাঁচাতে শেষ চেষ্টা হিসেবে জীবন রক্ষার ইনজেশন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রোগী বাঁচে নি। তার পর ঘটেছে তুলকালাম। ভাংচুর।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রোগীর মৃত্যু হয়।
উত্তেজিত স্বজনরা হাসপতালের আসবাব পত্র ভাংচুর করেছে।

দুই সদস্য বিশিষ্ট এক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ভোলার রতনপুর এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান মিয়ার কন্যা ও ভোলা পৌর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার ফলপ্রার্থী নুপুর আক্তার অজ্ঞাণ হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ভোলা সদর হাসপাতালের ৫৫ নং বেডে ভর্তি হন।প্রথমে তাকে ঔষধ ও স্যালাইন দেন ডাক্তাররা। তার এক ঘণ্টা পর রোগীর অবস্থা আরো অবনতি হলে চিকিৎসক ও নার্স তাকে জীবনরক্ষাকারী ইনজেকশন দেন। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায় নি।

 


রোগীর বাবা শাহজাহান অভিযোগ করেন, ডাক্তার ও নার্সদের ভুল চিকিৎসার কারণেই তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
আমার মেয়ে তার পরীক্ষার রেজাল্টটিও দেখে যেতে পারলো না।

 


ভোলা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা.রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নুপুর বেগম ভর্তি হন। হাসপাতালে আসার পথে বেশ কয়েক বার বমি ও পাতলা পায়খান করে ওই শিক্ষার্থী। হাসপাতালে আনা হলে তখন ডাক্তাররা তাকে ঔষধ ও স্যালাইন দেন। তার এক ঘণ্টার পর রোগীর অবস্থার গুরুতর অবনতি হলে লাইফ সেভিং ইনজেকশন পুশ করা হয়।


এ ব্যাপারে লেখক ডাক্তার রাজীব দে সরকার
বলেছেন,

আবার শিক্ষা পাইলাম ।

রোগী মরুক বাচুঁক, শেষ মুহূর্তে জীবন রক্ষাকারী ইনজেকশন আর দেওয়া যাবে না!! শুধু মিষ্টি করে কাউন্সেলিং করতে হবে।

এই দেশের "আবেগী" জনগণ ডাক্তার মারতে আর হাসপাতাল ভেঙ্গে বিয়ে করার মতো সুখ পায়।

আর সাংবাদিকরা তো আরেক ধাপ এগিয়ে। ইনজেকশন এর নামটাও জানলো না রিপোর্ট করার আগে। অথচ "ভুল চিকিৎসা" নামে নিউজ করা শেষ।

অজ্ঞান অবস্থায় ডায়রিয়ার রোগী হাসপাতালে আনলো তার স্বজনেরা। অথচ হাসপাতাল ভাঙ্গলো তারাই!!

জয় সাংবাদিকতার জয় !!
জয় রোগীর পালোয়ান স্বজনদের জয় !!

 

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়