Ameen Qudir

Published:
2019-01-17 19:51:30 BdST

RMCHরংপুর মেডিকেলে ডাক্তারের ওপর এএসআইয়ের অতর্কিতে হামলা : অত:পর



সংবাদদাতা
_____________________

ফোঁড়ার চিকিৎসা করাতে এসে ওয়ার্ডে ব্যাথায় ক্ষুব্ধ হয়ে গজ গজ করছিল এক এ এস আই। এ সময় একজন চিকিৎসক কর্তব্যর তাগিদে সেখানে আসেন। ডাক্তার কিছু বোঝার আগেই অতর্কিতে হামলা চালায় দুর্বিনীত পুলিশ সদস্য। পরে এই অপরাধে তাকে ক্লোজড করা হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানা পুলিশের সহকারী উপপুলিশ পরির্দশক (এএসআই) রাকিবুল ইসলাম গত সোমবার রাতে তার বা পায়ে ফোঁড়ার চিকিৎসা নিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর তাকে পোস্টঅপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়। এসময় তিনি ব্যথায় কাতর হয়ে ছিলেন বলে তার দাবি। পরে বিকেল ৫টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার রায় ওই ওয়ার্ডে গেলে রাকিবুল ইসলাম চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয়ে হামলা করেন। এতে চিকিৎসক আহত হন। মুখ মণ্ডলে আঘাত পেয়ে বর্তমানে ওই চিকিৎসক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন রংপুর জেলা শাখা।

বুধবার দুপুরে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে চিকিৎসকরা এ কর্মসূচি দেয়।
মানববন্ধনে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কালোব্যাজ ধারণ এবং শনিবার প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এই তিনদিনের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে শনিবার কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে সমাবেশ থেকে জানানো হয়।

মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বিএমএর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও জেলা সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএমএর কেন্দ্রীয় সদস্য জামালউদ্দিন মিন্টু, সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক হৃদয় রঞ্জন রায়, ইর্ন্টান চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আব্দুল হাই সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক আবরার লাবীব প্রমুখ।

 

এ ঘটনার জের ধরে বুধবার দুপুর একটার দিকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) জেলা শাখার আয়োজনে হাসপাতাল চত্বরে প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে চিকিৎসারত সহকারী উপ-পুলিশ পরির্দশক রাকিবুল ইসলামকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে এবং কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মিডিয়াকে বলেন, অভিযুক্ত সহকারী উপ-পুলিশ পরির্দশক রাকিবুল ইসলামকে ক্লোজড করা হয়েছে এবং চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়