Ameen Qudir

Published:
2018-08-29 15:50:32 BdST

চট্টগ্রামে তিন ভারতীয় ডাক্তারের অবৈধ চেম্বার রুখে দিলেন সিভিল সার্জন ও আদালত


 

 

ডেস্ক :
চট্টগ্রামের সুপরিচিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার সেনসিভে চেম্বার খুলে নিয়মিত রোগী দেখছিলেন তিন ভারতীয় চিকিৎসক। এই বেআইনী রোগী দেখা রুখে দিলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সদা সাহসী ডা.আজিজুর রহমান সিদ্দিকী । তার সঙ্গে ভ্রাম্যমান আদালতও নেয় আইনি ব্যবস্থা। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ওই ডাক্তারদের কাছে কোন অনুমতিপত্র নেই।

২৮ আগস্ট ভ্রাম্যমাণ আদালত  তিন চিকিৎসককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সনদ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া অনুমতি ছাড়া বিদেশি চিকিৎসক এনে ব্যবসা করার অভিযোগে ইউনিক হেলথ কেয়ার নামে একটি প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে  আদালত।

সংশ্লিষ্টরা জানান, নগরীর জামালখান এলাকায় অভিযান পরিচালনার সময় ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পালিয়ে যান। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওই প্রতিষ্ঠানের নামে নগরীতে বেশ কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করে আসছে তারা। এসব অনিয়মের কারণে ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মালিক এসে বৈধ কাগজপত্র দেখালে তদন্ত সাপেক্ষে তা খুলে দেওয়া হবে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা আজিজুর রহমান সিদ্দিকী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাইফুল্লাহ হিল আজম এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী অভিযানে অংশ নেন।

তিন ভারতীয় চিকিৎসক হলেন- ডা.অরুণাভ রায়, ডা.নেহা চৌধুরী ও ডা. অভি কুমার।

অভিযানের সময় সেনসিভে তিন ভারতীয় চিকিৎসককে পাওয়া যায়। তারা দাবি করেছেন- তাদের বিএমডিসি সনদ আছে। কিন্তু সেটা তারা দেখাতে পারেননি। আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিএমডিসি সনদ নিয়ে তাদের সশরীরে হাজির হতে বলেছি। অন্যথায় বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত একই এলাকায় বেলভিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও অভিযান চালায়। সেখানে ইউনিক হেলথ কেয়ার প্যাথলজিক্যাল সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়।

সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী মিডিয়াকে বলেন, ইউনিক হেলথ কেয়ার নামের প্যাথলজিক্যাল সেন্টার বিদেশি ডাক্তার দেশে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। তারা বিদেশেও রোগী পাঠায়। কিন্তু তাদের এ সংক্রান্ত কোনো অনুমোদন নেই। তারা কোন অনুমতিপত্রও দেখাতে পারেননি। তাই সাময়িকভাবে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়