Ameen Qudir

Published:
2018-08-12 17:28:07 BdST

স্বাস্থ্যখাতকে দালালমুক্ত করুন,দালালদের বর্জন করুন,অতি অল্প খরচে সুচিকিৎসা পাবেন




ডা. কামরুল হাসান সোহেল
_____________________________

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত দালালদের হাতে জিম্মি:

স্বাস্থ্যকর্মী রোকেয়া, জনদরদী, পরোপকারিনী হিসেবে তার জুড়ি নেই, মানুষের বিপদে-আপদে পাশে এসে দাড়ান, তাই চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে তার উপর মানুষের আস্থার লেভেলটাও সেইরকম। এলাকার কোন মহিলা গর্ভবতী হলে রো কেয়া ছুটে যান তার বাসায়, গিয়ে তাদের বিভিন্ন সলাপরামর্শ দেন। রোকেয়ার এলাকার এমনই এক সদ্য গর্ভবতী মা কুলসুম, অন্যদের মত রোকেয়া ছুটে গেলেন কুলসুমের বাসায়, কুলসুমের সাথে পরিচিত হলেন, গর্ভকালীন বিভিন্ন বিপদআপদ সম্পর্কে ধারনা দিলেন, যেকোন সময় বিপদ-আপদ সামলাতে কিছু টাকা পয়সা জমিয়ে রাখতে বললেন। প্রথম দর্শনে রোকেয়াকে ফেরেস্তার মত মনে হল কুলসুমের। এরপর থেকে প্রতিমাসে কুলসুমকে একবার করে দেখতে আসেন রোকেয়া, দিয়ে যান হরেক রকমের হেল্দ টিপস! ফলে রোকেয়ার প্রতি কুলসুমের বিশ্বাস ও বাড়তে থাকে দিন দিন। সময় যখন নয় মাসের কাছাকাছি চলে আসে, তখন ডেলিভারি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন আসে কুলসুমের মাথায়, আর সেই প্রশ্নগুলো তিনি করেন তার আস্থাভাজন স্বাস্থ্যকর্মী রোকেয়াকে। রোকেয়াও অতি উৎসাহের সহিত কুলসুমকে তার ডেলিভারি সংক্রান্ত ব্যপারে বিস্তারিত বলেন, যেমন, "দেখ নরমাল ডেলিভারিই সবচেয়ে ভাল, আল্লাহর দেওয়া প্রসেসের সাথে তো আর অন্য কিছুর তুলনা হয় না! তবে নরমাল ডেলিভারিতে ব্যথাটা অনেক বেশি! অনেক শক্ত-সামর্থ্য মহিলারাও এ ব্যথা সহ্য করতে পারে না! আর তুমিতো অনেক নরম প্রকৃতির একটা মেয়ে, তুমি যে কিভাবে এ ব্যথা সহ্য করবা, আমার খুব টেনশন হয়!" যত দিন ঘনিয়ে আসে কুলসুমের বাসায় রোকেয়ার যাওয়া-আসাও বাড়তে থাকে। আর অল্প অল্প করে রোকেয়া কুলসুমকে বুঝাতে থাকেন নরমাল আর সিজারিয়ান ডেলিভারির পার্থক্য, একদিন কানেকানে বলে ফেলেন - "নরমাল ডেলিভারির সবই ভাল, তবে একটা সমস্যা হয় কী- বাচ্চাটাতো আর কম বড় না, রাস্তাতো তোমার ওইটাই, নরমালে বাচ্চা হলে অই জায়গাটা লুজ হয়ে যায়। (দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে) যাগ্যে, কপাল তো আর সবার একরকম না! অনেকের স্বামী এটা মেনেই নিতে চায় না, বেটা আরেকটা বিয়ে করে বসে।" এবার কিন্তু কুলসুমের ভিতর ভয় ঢুকে গেছে, জীবন একটাই, স্বামী একটাই, সব কিছু উল্টাপাল্টা হয়ে যাবে! এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই কুলসুম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন যে, তিনি সিজারই করবেন। কিন্তু কোথায় করাবেন, কোন ডাক্তার দিয়ে করাবেন, নানান প্রশ্ন তার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে, কিন্তু ভরসাতো একজন আছেন, স্বাস্থ্যকর্মী রোকেয়া! এরপর একদিন কুলসুম রোকেয়াকে প্রশ্ন করে বসেন, "আপা, সিজারটা কোথায় করালে ভাল হবে?" রোকেয়ার উত্তর, "ভাল তো অনেক জায়গায়ই হয়! কিন্তু তোমার আর্থিক অবস্থাটাওতো চিন্তা করা লাগবে। ডাক্তাররাতো এখন আর মানুষ নাই, সব ডাকাত হয়ে গেছে। তুমি যদি জামরুন্নাহার মেডামের চেম্বারে যাও মেডাম ২০ হাজার টাকা নিবে তোমার সিজার করাতে, তুমি যদি মাহাঙ্গীর আলম স্যারের কাছে যাও উনি ১৬ হাজার টাকা নিবে তোমার সিজার করতে। সরকারি হাসপাতালে তুমি কম খরচে করাতে পারবা, কিন্তু সমস্যা হল সেখানে ডাক্তাররা রুগী দেখেন না, তোমাকে দিনের পর দিন ফ্লোরে ফেলে রাখবে, বাচ্চা মরে যাবে, অইদিকে কেউ ফিরেও তাকাবে না।" এবার কুলসুমের কাকুতি, "আপা আপনি তো এই সেক্টরে আছেন, আপনার কোন পরিচিত জায়গায় একটু কম খরচে এটা করার ব্যবস্থা করে দেন না, আপনি তো জানেন আমরা গরীব মানুষ।" রোকেয়া তখন উত্তরে বলেন আমার পরিচিত একটা ক্লিনিক আছে, ঝিনিয়া ক্লিনিক, আমি অনুরোধ করলে ওরা একটু কম পয়সায় করিয়ে দিতে পারবে, দেখি আমি যদি ওই দিকে যাই খোঁজ নিব নে।" কুলসুম (টলমল চোখে) রোকেয়াকে অনুরোধ করে, "আপা, আপনিতো আমার অনেক উপকার করছেন, আমার জন্য দয়া করে এই কাজটা করে দেন, (কুলসুম তার আচলে বাঁধা ১০০ টাকার নোট বের করে রোকেয়াকে দিতে চায়) আপা আপনি রিকশা ভাড়াটা রাখেন, দয়া করে আমার জন্য খোঁজটা করে দেন।" রোকেয়া টাকাটা নিলেন না, বললেন, "ছিঃ ছিঃ, তোমাকে আমি নিজের ছোটববোনের মত দেখি, টাকা দাও কেন? আচ্ছা আমি খোঁজ নিয়ে তোমাকে জানাব।" আজকের এই আচরনে রোকেয়ার প্রতি কুলসুমের বিশ্বাস আকাশ চুম্বি হল। কুলসুমের অধিক আগ্রহে অপেক্ষা, কবে আসবেন রোকেয়া! ২ দিন পর রোকেয়া আসলেন, বললেন, "আমি ক্লিনিকের সাথে কথা বলেছি, ওনারা ১৩ হাজারের নিচে পারবেন না, ডাক্তারদের বিল দিয়ে ১৩ হজারের পর আর তাদের হাতে কিছু থাকে না।" কুলসুম মনে মনে খুশি হয়, "যাক ৩ থেকে ৬ হাজার টাকাতো বেঁচে গেল!" দিন ঘনিয়ে আসে, সিজারের দিন। আমি সেদিন ঝিনিয়া ক্লিনিকে ডিউটি ডাক্তার ছিলাম। ম্যানেজার কল করলেন, "স্যার, রোকেয়া মেডামের একটা সিজারের রুগী ভর্তি হইছে, প্রি অপারেটিভ অর্ডারটা দিয়ে আসেন"। আমি যখন শুরুর দিকে ওইখানে ডিউটি করতাম, তখন রুগীদের বুঝানোর চেষ্টা করতাম যে সিজারের চেয়ে নরমাল ডেলিভারি বহুগুণে ভাল। কিন্তু বেশ কয়েকটা কেইজের অভিজ্ঞতার পর বুঝতে পারলাম যে রোকেয়ার কোন রুগীকে বুঝিয়ে লাভ নেই। যাই হোক আমি কুলসুমের কাছে গিয়ে সব চেকআপ করে জিজ্ঞেস করলাম, সিজার কেন করাবেন? কুলসুমের (লাজুক মুখে) উত্তর, "স্যার, নরমাল ডেলিভারি আমার ভয় লাগে।" ওই দিকে পাশে রোকেয়া একগালে হেসে আমার দিকে টগবগ করে তাকিয়ে আছে, তার পিছনে ম্যানেজার দাড়িয়ে, রোকেয়ার চোখের ভাষাটা এমন, "বেটা ২দিন হইছে এমবিবিএস পাশ করছস, আজ যদি তোর কারনে আমার এই কেইজটা মিস হয়, তোরে ঘাড় ধাক্কা দিয়া এই ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করুম!" আমি কুলসুমের শারিরিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে ম্যানেজারকে বললাম, "হুম, পেশেন্টের বিপি ঠিক আছে, ফিটাল হার্ট সাউন্ড ঠিক আছে, রক্তের রিপোর্ট সব ঠিক আছে। আপনারা চাইলে সিজার করাতে পারবেন।" রোকেয়ার মুখে এবার যুদ্ধজয়ের হাসি, আমাকে উদ্দেশ্য করে, "ডক্টর, আপনি তো এখনো বিয়ে করেন নাই? আপনি কিন্তু দেখতে অনেক স্মার্ট! কোন ডাক্তারনী লাগলে বইলেন, আমার পরিচিত অনেক সুন্দরী ডাক্তারনী আছে।" আমি একগাল হেসে প্রস্থান। অপারেশন টেবিলে কুলসুম, জামরুন্নাহার মেডাম সার্জন, আমি এসিস্টেন্ট, এনাস্থেশিয়া দিয়েছেন চৌধুরী জমশেদ স্যার। কুলসুমের মাথার কাছে দাড়িয়ে আছেন স্বাস্থকর্মী রোকেয়া, অভয় দিচ্ছেন, "তোমার কোন ভয় নেই, বাচ্চা ডেলিভারি হবে টেরও পাবা না" জামরুন্নাহার মেডাম রোকেয়াকে প্রশ্ন করলেন, "কী তোমার মেয়ে এখন কোন ইয়ারে?"। রোকেয়া উত্তর দিলেন, "ফোর্থ ইয়ারে, ম্যাডাম।" আমি জিজ্ঞেস করলাম কোন মেডিকেলে?" রোকেয়া উত্তর দিলেন, "ও তো রাশিয়াতে এম.ডি. করতেছে।" [পাঠকদের সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি, যেসকল ছাত্রছাত্রীরা এইচ এস সির পর বাংলাদেশের কোন সরকারী অথবা প্রাইভেট মেডিকেলে চান্স পান না, তারা সামর্থ্য থাকলে চায়না থেকে এমবিবিএস বা রাশিয়া থেকে এম.ডি করে আসতে পারেন, যা বাংলাদেশের এমবিবিএস সমমান।] যাই হোক এটুকু কথা বলতে বলতেই (মাত্র ২মিনিটে) বাচ্চা বের হয়ে "ওয়া" চিৎকারে হাসপাতাল কাঁপিয়ে দিল, অপারেশনের সম্পুর্ন কাজ শেষ হল মাত্র ১০ মিনিটেই। অপারেশন শেষে আমি পোস্ট অপারেটিভ অর্ডার দিলাম, যদিও আমি জানতাম আমার সে অর্ডারের কোনই মূল্য নেই! কারন, রোকেয়া তার রুগীদের ঔষধের সাপ্লাই নিজে দেন, ডাক্তার কী দিলেন, সেটা সিস্টাররা পড়েও দেখেন না। যাই হোক ৩দিন হাসপাতালে থাকার পর কুলসুম এবার বাড়ি যাবে। হাসপাতালে ১৩ হাজার টাকা শোধ করার পর কুলসুমের স্বামী স্বাস্থ্যকর্মী রোকেয়ার জন্য একটা শাড়ি কিনে নিয়ে আসেন। কুলসুমের এবার কৃতজ্ঞ নয়নে রোকেয়ার কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার পালা, "আপা আপনি এটা রাখেন (শাড়ি এবং সাথে ১ হাজার টাকা), আপা আজকে কিন্তু আপনি ফিরিয়ে দিতে পারবেন না, ফিরিয়ে দিলে আমরা অনেক কষ্ট পাব।" রুকেয়া গিফট বুঝে নিলেন, বললেন, "তোমাদের সাথে আর পারলাম না।" এবার আমরা আসি রোকেয়ার লাভ-লসের হিসাব নিকাশে, ঝিনিয়া ক্লিনিক একটা সিজার করতে জামরুন্নাহার মেডামের মত এমবিবিএস, ডিজিও, এম.এস, এমআরসিওজি করা একজন বিশেষজ্ঞকে বিল দেয় মাত্র ২হাজার টাকা, আমার মত এমবিবিএস পাশ করা এসিস্টেন্টকে দেয় মাত্র ২শত টাকা, এনাস্থেসিয়ার জমশেদ স্যারকে দেয় ১ হাজার টাকা, ডাক্তারদের জন্য টোটাল খরচ ৩২০০ টাকা। তাদের অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতির চার্জ আনুমানিক ১০০০ টাকা, ওয়ার্ড/কেবিন ভাড়া ২০০০ টাকা। নার্স, ওয়ার্ড বয়, আয়া-বুয়া, দারোয়ান ইত্যাদি স্টাফদের বেতন মেইনটেইনেন্স সহ ক্লিনিক নেয় প্রায় ১৮০০ টাকা। মোট কত হল? ৮০০০ টাকা। রোকেয়ার মত দালালদের সাথে ঝিনিয়া ক্লিনিকের মত ক্লিনিক মালিকদের চুক্তি থাকে এমন যে, রোকেয়া সেই ক্লিনিকে প্রতিটা কেইজের জন্য ৮০০০ টাকা দিবে। ঔষধ যা লাগে রোকেয়া দিবে, রোগীর কাছ থেকে মোট কত নিবে, সেটা রোকেয়ার ব্যাপার। (রোকেয়া কেইজ বুঝে একেক রুগীর কাছ থেকে একেক রকম নিয়ে থাকে, কারো কাছ থেকে ১২, কারো কাছ থেকে ১৪ বা ১৫ হাজার টাকা।) আর কুলসুমের ঔষধের জন্য রোকেয়ার খরচ হয় মাত্র ৫০০ টাকা। তাহলে কুলসুমের কাছ থেকে রোকেয়ার কত লাভ হল? ১৩০০০-৮৫০০+১০০০+১টা শাড়ি = ৫৫০০ টাকা + ১ টা শাড়ি [অন্যদিকে কুলসুম যেই গাইনী বিশেষজ্ঞকে ডাকাত হিসেবে চিনে গেলেন, তিনি কত পেলেন? ২০০০টাকা!] জ্বি এরই নাম মধ্যসত্বভোগী, এটাই রাতারাতি ধনী হওয়ার রাস্তা। আচ্ছা কুলসুমের তো লস হয় নি, জামরুন্নাহার মেডামকে চেম্বারে দেখালেতো তার ২০,০০০ টাকা খরচ হত, সেখানে ১৩০০০+১০০০+১টা শাড়ি খরচ হয়েছে, হিসেবেতো ৫৫০০ টাকার মত লাভই হল! এবার আসুন এর ব্যখ্যা দেই। জামরুন্নাহার মেডাম যদি সৎ হয়ে থাকেন, তাহলে অতি প্রয়োজন ছাড়া কুলসুমের সিজারের কথা বলতেন না। নরমাল ডেলিভারি করলে তার ৫০০০ হাজারের বেশি খরচ কখনই হত না। আর যদি কুলসুমের সিজারের প্রয়োজনই হত তাহলে কুলসুমের সামর্থ্য থাকলে মেডাম তার কাছ থেকে ২০,০০০ হাজার টাকা নিতেন সত্য, কিন্তু সার্ভিসের কোয়ালিটিতে থাকত অনেক গুণগত পার্থক্য: এক্ষেত্রে মেডাম ঝিনিয়া ক্নিনিককে দিতেন ৬০০০ টাকা, ঔষধ কিনার জন্য দিতেন ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা (স্বাস্থকর্মী রোকেয়া খরচ বাঁচাতে ৫০০ টাকা দিয়ে যে নিম্নমানের ঔষধ কিনে দেন, তা মেডিকেলের অথোরাইজ্ড বডিগুলো সমর্থন করে না)। তাছাড়া অপারেশনের সুই-সুতাও মেডাম দিয়ে থাকেন উন্নত মানের, যার মূল্য রোকেয়ার দেওয়া সুই-সুতার ৪-৫ গুণ। যেহেতু এখানে মধ্যসত্বভোগীর খরচ নেই, তাই সবখরচ দেওয়ার পরও এক্ষেত্রে মেডাম পাচ্ছেন প্রায় ১২০০০ টাকা, তাই রুগীর প্রতি মেডামের গুরুত্বও থাকে অনেক বেশি। মেডাম নিজের রুগীদের সিজার করতে সময় দেন ২০ থেকে ২৫ মিনিট, এক্ষেত্রে তার প্রতিটা ব্লেডের আচরে, প্রতিটা সূচের খোঁচায় থাকে যত্নের ছোয়া। ১টা সিজার করে ১২০০০ টাকা নেওয়ার যোগ্যতা মেডাম অর্জন করেছেন জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান ৪০ টি বছর পড়াশুনা, পরিশ্রম আর দেশ-বিদেশ দৌড়াদৌড়ি করে। সেখানে রোকেয়াদের রুগীদের সিজার করে তিনি পান মাত্র ২ হাজার টাকা (অথচ কোন প্রকার যোগ্যতা ছাড়াই রোকেয়া কামিয়ে নেন ৫-৬ হাজার টাকা)। তাই সেক্ষেত্রে যত্নটা আর থাকে না, কাজ শেষ করেন মাত্র ১০ মিনিটেই। অন্যদিকে দরিদ্র রুগী হলে মেডাম নিজ থেকেই খরচ কমিয়ে রাখেন, এমনকি অতি দরিদ্র রুগী হলে তাকে নির্ধারিত সময়ে ভর্তি হয়ে যেতে বলেন সরকারী হাসপাতালে, সেখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রোগীর অপারেশন করে দেন। সুতরাং, সবদিক থেকেই এটা পরিষ্কার যে, রোকেয়ার মত দালালদের খপ্পরে পড়লে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশংকাই বেশি থাকে।
_________________________

ডা. কামরুল হাসান সোহেল:
আজীবন সদস্য, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ , কুমিল্লা জেলা।
কার্যকরী সদস্য at স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
আজীবন সদস্য,বিএমএ কুমিল্লা।
সেন্ট্রাল কাউন্সিলর, বিএমএ কুমিল্লা

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়