Ameen Qudir

Published:
2018-05-08 23:18:37 BdST

তেলাপোকাটি দিনের পর দিন এই নারীর কানেই বাস করছিল : শেষে ডাক্তারই মেরে তাড়াল



তেলাপোকা যে কতো ভয়ঙ্কর উপদ্রবের হতে পারে , সেটা কম বেশী সবাই টের পেলেও একদম বেখবর ছিলেন এই নারী।

 

ডেস্ক
________________________

তেলাপোকা যে কতো ভয়ঙ্কর উপদ্রবের হতে পারে , সেটা কম বেশী সবাই টের পেলেও একদম বেখবর ছিলেন এই নারী। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাসিন্দা কেটি হোলি। খুব ভাল মানুষ। নারীরা তেলাপোকা ভয় পায়; সেটা তার ক্ষেত্রে একদম সত্য নয়। বরং তিনি তেলাপোকাবান্ধব। বেশ কিছুদিন ধরেই কানে তেলাপোকা নিয়ে তিনি জীবনযাপন করছিলেন। কিন্তু অসহ্য তেলাপোকা। বজ্জাত। হাড়ে হারামী। একপর্যায়ে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতেই বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর সত্যটি। জানা যায়, তিনি দিব্যি এক তেলাপোকাকে তার কানে বাস করতে দিয়েছেন। টেরই পান নি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর এক প্রতিবেদনে জানায়, বছর খানেক আগে কেটি হলি এবং তার স্বামী জর্ডন ফ্লোরিডায় নতুন বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু বাড়িটিতে কীট পতঙ্গের যন্ত্রণায় অস্থির ছিলেন তারা।

এই কারণে ওষুধ আর কীটনাশক ব্যবহার করে বাড়িকে কীট মুক্ত করেন কেটি দম্পতি। তবে একটি আরশোলা সম্ভবত স্বজনদের হত্যার প্রতিশোধ নিতেই লুকিয়ে ছিল। অপেক্ষায় ছিল গেরিলা হামলার!

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৪ এপ্রিল সকালে গোসল করার সময় কেটি হোলি প্রচণ্ড চিৎকার করতে থাকলে ছুটে যান তার স্বামী জর্ডন। স্বামীকে কেটি জানান, তার কানের মধ্য প্রচণ্ড অস্বস্তি হচ্ছে। মনে হচ্ছে কিছু যেন কান দিয়ে প্রবেশ করছে।

ফলে কেটির কানে আলো ফেলে জর্ডান দেখান চেষ্টা করেন ভেতরে কিছু ঢুকেছে কিনা। তখনই দেখতে পান কানের ভেতর রোমযুক্ত কোনো কীটের পা দেখা যাচ্ছে। তাই এক মুহূর্ত দেরি না করে তারা চিকিৎসকের কাছে যান।

চিকিৎসককে কেটি জানান, তার কানের ভেতরে কিছু নড়াচড়া করছে। বিষয়টি জেনে সেই চিকিৎসক কানে অষুধ দিয়ে পতঙ্গটিকে মেরে দেহাবশেষ বের করে আনেন। তবে সবটুকু যে বের হয়নি তা জানতে কেটে যায় ৯ দিন।

কেটি প্রথমে ভেবেছিলেন পোকা বের হয়ে যাওয়ায় কান নিয়ে আর ভাবতে হবে না। কিন্তু পরপর ৯ দিন কেটে গেলেও কানে অস্বস্তি যাচ্ছিল না কেটির। প্রায়ই তার মনে হতে থাকে, কানের ভেতর কিছু একটা রয়েছে।

বিষয়টি স্বামীকে জানালে দু’জনই আবার চিকিৎসকের কাছে ছোটেন। এবার অবশ্য একজন বিশেষজ্ঞের কাছে যান তারা।

সেই বিশেষজ্ঞ উন্নত সব যন্ত্র দিয়ে কান পরীক্ষা করেই চমকে যান। দেখতে পান, কেটির কানের ভেতর বহাল তবিয়তে রয়েছে মৃত তেলাপোকার অধিকাংশ দেহ’ই।

এমনকি অটোস্কোপে তেলাপোকাটির দুটি শুঁড়’ও স্পষ্ট বোঝা যায়। এরপর অবশ্য কেটির কান থেকে তেলাপোকার সম্পূর্ণ দেহাবশেষই বের করে আনা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আস্ত তেলাপোকা ঢুকলেও কেটির কান ভালোই আছে। তবে সময় মতো চিকিৎসা না হলে পরিণতি হতো মারাত্মক।

উল্লেখ্য, বলা হয়ে থাকে, পারমাণবিক যুদ্ধে যদি পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে পৃথিবীর সব প্রাণী নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত যে অল্প কিছু প্রাণী বেঁচে থাকতে পারবে, তাদের মধ্যে তেলাপোকা অন্যতম। এর অর্থ অবশ্য এই নয় যে, তেলাপোকা অমর। বরং এই ধারণা এসেছে এই কারণে যে, তেলাপোকা অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশেও বেঁচে থাকতে পারে। এরা পানি ছাড়া প্রায় এক সপ্তাহ এবং কোনো খাবার ছাড়া প্রায় এক মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়