Ameen Qudir

Published:
2018-03-13 02:07:18 BdST

ইউএস বাংলা ট্রাজেডিতে শোক ও মাতম রাগীব রাবেয়া ও কুমুদিনী মেডিকেলে



ডা. সুরাইয়া বেগম
_________________

নেপালের ত্রিভূবন বিমানবন্দরের ইউএস বাংলার শোকবাহী বিমান দুর্ঘটনার ট্রাজেডিতে সিলেট রাগীব রাবেয়া ও টাংগাইলের কুমুদিনী মেডিকেল কলেজে এখন শোক আর কান্না। ধারনা করা হচ্ছে, বিমানে ১৩ জন ফাইনাল প্রফ পরীক্ষার্থী ছিলো সিলেট রাগীব রাবেয়ার। কুমুদিনি উইমেন্স মেডিকেলের একজন ছিল । ধারনা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের আরো কয়েকজন ডাক্তার ছিলেন।
শোকার্ত সহপাঠিরা জানান, রাগিব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের ১৩ জন নেপালি শিক্ষার্থী রোববার মাত্র ফাইনাল প্রফ শেষ করে সোমবারে রওনা দিয়েছিলো নিজ ভূবণ নেপালে ।সেখানেই তাদের আত্মীয় স্বজন। ফাইনাল প্রফের যন্ত্রণাময় কঠিন পথ তারা পাড়ি দিয়েছে লম্বা তিনটা মাস।সব শেষ করে বাবা মা ভাই বোন আত্মীয়দের কাছে ফেরত যাচ্ছিলেন।

শোকার্ত স্বজন সহপাঠিরা শোকবিবৃতিতে জানান, কত স্বপ্ন ছিল এই শিক্ষার্থীদের। কদিন বাদে পুরো দস্তুর ডাক্তার হয়ে সেবায় নেমে পড়তেন। নেপালে বঞ্চিত মানুষ উপকৃত হতেন। কতো আনন্দ নিয়েই না তারা ফেরত যাচ্ছিলেন।কল্পনায় হয়তো ভাসছিলো বাবা মা'র মুখ,তাদের সাথে দেখা হয় না কতোদিন।হয়তো জড়িয়ে ধরে বলতো,"ডাক্তার হয়ে যাবো,ডাক্তার।"
শোক আর কান্না রাগীব রাবেয়া ক্যম্পাস জুড়ে। সহপাঠিদের শোক মেনে নিতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।
কেন এমন হয় ! কেন এত শোক ! এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রশ্ন সবার মনে।
কেন এরকম একটি বিমান আকাশে চলতে দেয়া হল , এ প্রশ্নও ঘুরে ফিরে সকলের মনে।

এত কান্না রাখব কই
_____________

নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলার বিমানে যাত্রী ছিলেন সিলেটেররাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ শিক্ষার্থী। রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের নেপালী শিক্ষার্থী উশমা মাইনালি তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি তার পোস্টে ওই ১৩ শিক্ষার্থীর নাম লিখেন।

এদের সবারই মৃত্যু হয়েছে ধারনা করে জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল আবেদ হোসেন বলেন, হতাহতের সংখ্যাটা আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি, আমাদের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। এদের মধ্যে ১১ জন মেয়ে শিক্ষার্থী ও ২ জন ছেলে শিক্ষার্থী রয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, নিহতরা সবাই ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা শেষ করে নিজেদের দেশ নেপালে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। গতকাল গ্রীণ লাইনের বাসে করে ঢাকা যান তারা। আজ নেপাল পৌছার পরই এ দুর্ঘটনার শিকার হলেন তারা।

এই বিমানে যাত্রী ছিলেন, সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্নিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, শামিরা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিঞ্চি ধনি। তারা সকলেই নেপালী বংশোদ্ভূত।

এর আগে মেডিকেল কলেজের একটি সূত্রে জানিয়েছিল, এদের মধ্যে একজন নিহত ও ছয়জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন তারা। বাকীদের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সোমবার (১২ মার্চ) দেশটির নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমান বিধ্বস্তের এ ঘটনায় ৪৬জন প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির গণমাধ্যম।

আপনার মতামত দিন:


ক্যাম্পাস এর জনপ্রিয়