Ameen Qudir

Published:
2017-03-16 18:57:21 BdST

চিকিৎসকদের নিয়ে বজ্জাতি বন্ধ না হলে সকল জরুরি , অ-জরুরি চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাবে


 

 


ডা. বাহারুল আলম

_______________________


এ মুহূর্তে কর্মস্থলে চিকিৎসক শারীরিক লাঞ্ছিত ও হাসপাতাল ভাংচুর হওয়ার ঘটনা ঘটেছে মুন্সিগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও বক্ষব্যাধি হাসপাতালে। রাষ্ট্র বরাবরে মতই চুপ আছে। অতীত ও চলমান চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় রাষ্ট্র কখনও বিচলিত হয়ে কর্মস্থল নিরাপত্তার উদ্যোগ নেয় নি। ঘটনা তদন্তেও কোন কমিটি হয় নি।

অথচ বগুড়ায় স্বজনরা আক্রমণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত দল সেখানে ছুটে গিয়েছিল।

ঠিক একইভাবে চিকিৎসকদের সংগঠন ও নেতৃত্ব রাষ্ট্রের এই উদাসীনতার কারণে আক্রমণ না করে 'স্বাস্থ্যসেবা আইন ২০১৬' খসড়া দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনায় ছটফট করছে।

চিকিৎসকরা তাদের নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রের সাথে দর কষাকষি করতে পারবে না, মানবতা লঙ্ঘিত হওয়ার অপরাধে হৈচৈ পড়ে যাবে। তাহলে চিকিৎসকদের প্রতিবাদ , আহাজারি রক্তক্ষরণ ও চোখের জলে প্রশমিত হবে? বিস্ফোরণ ঘটবেই... আঁধার ঘনিয়ে আসছে। কোন মানবতার দোহাই বা রক্তচক্ষুতে দাবানো যাবে না।

 

রাষ্ট্রের কেরানিরা থাকবে মহাসুখে, মূলধারায়, দেয়াল ঘেরা সচিবালয়ে। আর তৃণমূলে থাকা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিত করা, হাসপাতাল ভাংচুর করার জন্য লেলিয়ে দেওয়া হবে রোগীর স্বজনদের।

রাষ্ট্রীয় আচরণের দৃষ্টিভঙ্গির এ বৈপরীত্য সর্বাগ্রে পরিহার করতে হবে । ‘আঁধার যত গভীর - আলো তত উজ্জ্বল’। চিকিৎসকদের নিয়ে রাষ্ট্রীয় এই বজ্জাতি বন্ধ হোক । তা না হলে জরুরি , অ-জরুরি সকল চিকিৎসা ‘কর্মবিরতিতে নয়, প্রতিবাদের কারণেই বন্ধ হয়ে যাবে’।রাষ্ট্র কখনই সংক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করাতে পারবে না।

__________________________________

ডা. বাহারুল আলম । প্রখ্যাত পেশাজীবী নেতা।

আপনার মতামত দিন:


ক্যাম্পাস এর জনপ্রিয়