Ameen Qudir

Published:
2017-03-06 00:57:09 BdST

বিএসএমএমইউ প্রোভিসি শারফুদ্দিন আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন


 

 

আহির ফা হিয়ান বুবকা
____________________________


এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে মানুষের চক্ষুরোগ নিরাময়, অন্ধত্বমোচন ও প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রোভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস ইন প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেস পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরে এশিয়া প্যাসেফিক একাডেমি অব অফথালমোলজির ৩২তম কংগ্রেসে তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বর্তমানে প্রোভিসির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউর প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ২০১৫ সালে প্রোভিসি হিসেবে নিয়োগ পান।

১৯৫৬ সালের ৭ অক্টোবর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার খায়েরহাট গ্রামেজন্মগ্রহণ করেন। তিনি মরহুম শামসুদ্দিন আহমেদ ও হোসনেয়ারা বেগমের তৃতীয় সন্তান।

অধ্যাপক শারফুদ্দিন কৃতিত্বের সঙ্গে ১৯৭২ সালে কাশিয়ানী জিসি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৭৪ সালে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একই কলেজে সহকারী সার্জন সমমান পদে রেসিডেন্সি ট্রেনিং সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আইপিজিএমআর থেকে চক্ষুবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৮২ সালের ১৪ জুন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী সার্জন পদে যোগদানের মাধ্যমে তিনি সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। চাকরিলীন তিনি খুলনার কয়রা ও নরসিংদীর বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মাদারীপুর সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাবেক আইপিজিএমআরে চক্ষু বিভাগের রেজিস্ট্রার, আরএস ও সহকারী অধ্যাপক পদের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন আইপিজিএমআরের চক্ষু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক থাকাকালীন “আইপজিএমআর” উন্নীত হয়ে বিএসএমএমইউ প্রতিষ্ঠিত হলে, তিনি বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে থেকে যান।

পরবর্তীতে তিনি চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন ও বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগ চালু হলে তিনি নবপ্রতিষ্ঠিত বিভাগের চেয়্যারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউিনিটি অফথালমোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, প্রিভেনটিভ ও সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন এবং সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য এবং নির্বাচিত সাবেক মহাসচিব, কোষাধ্যক্ষ (তিনবার), সাংগঠনিক সম্পাদক ও দফতর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির বর্তমান সভাপতি ও সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ অকুলোপ্লাস্টি সোসাইটির সভাপতি, বাংলাদেশ একাডেমি অব অফথালমোলজি ও বাংলাদেশ কমিউনিটি অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটির সহ-সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত সিনেট সদস্য, সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের “বাংলাদেশ কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটিং মেকানিজম (বিসিসিএম)”এর নির্বাচিত ভাইস চেয়ারপারসন।

তিনি চোখের অসুখের উপর বাংলা ভাষায় ৪টি বই লিখেছেন ও ইংরেজি ভাষায় ‘এক্সাইমিনেশন টেকনিকস অ্যান্ড শর্ট কেসেস ফর পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টস অব অফথালমোলজি’ নামক একটি বই লিখেছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিভিন্ন দৈনিক ও সাময়িকীতে নিবন্ধ লেখেন এবং টেলিভিশনের বিশেষ অনুষ্ঠান ও টক শোতে অংশগ্রহণ করেন।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অব অফথালমোলজি কর্তৃক বাংলাদেশে চক্ষুরোগ সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ “ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ২০১২” লাভ করেন।
তিন সন্তানের জনক অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদের প্রথম সন্তান চিকিৎসক, দ্বিতীয় সন্তান এমবিবিএস ৫ম বর্ষে ও তৃতীয় সন্তান মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত। সহধর্মিনী অধ্যাপক ডা. নাফিজা আহমেদ চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের শিক্ষক।
________________________

 

আহির ফা হিয়ান বুবকা । নির্বাহী সম্পাদক , ডাক্তার প্রতিদিন।

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়