Ameen Qudir

Published:
2018-09-13 19:28:35 BdST

বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশাল হাসপাতাল কেন বিশ্বসেরা: কি কি সুবিধা পাবেন রোগীরা


 

 


ডা.সুচিত্রা সাহা বীণা
________________________

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল এখন আর স্বপ্ন নয়। ২০২১ সাল নাগাদ এই বিশাল হাসপাতাল হবে বাস্তব। যেটি হবে বিশ্বের সেরা হাসপাতাল গুলির একটি। আজ১৩ সেপ্টম্বর ২০১৮ ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সারা দেশের মানুষের মধ্যে প্রবল কৌতুহল:কেন এটি বিশ্ব সেরার কাতারে র একটি হাসপাতাল। কি থাকছে এই সুপার হাসপাতালে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ১২ সেপ্টম্বর দিয়েছেন এসব প্রশ্নের উত্তর।

শাহবাগ এলাকায় ৩.৮ একর জায়গায় নির্মাণ হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

উপাচার্য বলেন,
‘দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ইডিসিএফের অর্থায়নে ১০৪৭ কোটি টাকা ঋণ সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে ২টি বেসমেন্টসহ ১১তলা হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হবে। পরে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ওপরের দিকে দুই তলা সম্প্রসারণ করা হবে। ১৩তলা ভবনটিতে থাকবে ১ হাজার শয্যা। দেশে প্রথম সেন্টার ভিত্তিক চিকিৎসাসেবা চালু হবে এতে। বাংলাদেশে এ ধরনের হাসপাতাল এই প্রথম। উন্নত বিশ্বে সেন্টার ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি চালু আছে ।

সুপার হাসপাতালে থাকবে স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারোলজি সেন্টার, কার্ডিও ও সেরিব্রো ভাস্কুলার সেন্টার এবং কিডনি সেন্টার। কিডনি ও লিভার ট্রান্সপ্লান্টের সুবিধা থাকবে। উন্নত চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি উন্নত গবেষণা ও প্রশিক্ষণের দিগন্ত প্রসারিত হবে। এ লক্ষ্যে ৮০ জন চিকিৎসক ৩০ জন নার্স ও ১০ জন কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে প্রতিদিন বহির্বিভাগে সেবা নেবে ২ থেকে ৪ হাজার রোগী।

থাকবে রেসপিরেটরি মেডিসিন সেন্টার, জেনারেল সার্জারি সেন্টার, অপথালমোলজি, ডেন্টিস্ট্রি, ডার্মাটোলজি সেন্টার এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন বা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার। রোগীবান্ধব এই সবুজ হাসপাতালটিতে থাকবে রুফটপ গার্ডেন ও বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব সুযোগ-সুবিধা। উন্নত বহির্বিভাগ ও ডিজিটাল ইনফরমেশন সেন্টারও চালু থাকবে ।

বাংলাদেশের মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাপাবে। এখানে চিকিৎসাসেবার টিকিটের মূল্য ৩০ টাকা। এছাড়াও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার সুযোগ চালু থাকবে।
এখন ৪৫ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান ও এমআরআই ছাড়া সব সুযোগ-সুবিধা ও ওষুধ বিনামূল্যে দেই। তাদের সার্জারির প্রয়োজন হলেও সেটা বিনামূল্যেই হয়। আর মূল হাসপাতালে টিকেট ব্যবস্থা খুব দ্রুত অটোমেশন হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণতকরণে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পেরকাজ শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেজমেন্টসহ সাত তলা বিশিষ্ট দু’টি সর্বাধুনিক বহির্বিভাগ নির্মাণ, কেবিন ব্লকের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, মেডিকেল কনভেনশন সেন্টার, পাঁচ তলা বিশিষ্ট ডায়াগোনেস্টিক ও অনকোলজি ভবন নির্মাণ এবং পাঁচ তলা বিশিষ্ট ডক্টরস নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় চলতি বছরের ৩১ জুলাই। শেষ হবে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে।

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়