Ameen Qudir
Published:2018-03-16 16:58:36 BdST
উপমহাদেশের প্রখ্যাত নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা.কনক কান্তি বড়ুয়া বিএসএমএমইউর ভিসি
ডাক্তার প্রতিদিন
______________________
উপমহাদেশের প্রখ্যাত নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা.কনক কান্তি বড়ুয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত হয়েছেন।
দেশের এই গৌরবদীপ্ত ব্যাক্তিত্ব বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য হওয়ায় সর্বমহলেই অভিনন্দন ও খুশির জোয়ার।
বর্নাঢ্য ও হীরকমন্ডিত তার ক্যারিয়ার।
এর আগে গত বছর বাংলাদেশের আরেকটি গৌরবজনক চিকিৎসক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিয়ান্স এন্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) এর সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হয়। কারণ তিনি অজাতশত্রু। সবার মনের মনিকোঠায় তার অবস্থান।
অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বিশিষ্ট নিউরোসার্জন হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। এই বরেণ্য চিকিৎসক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারী বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সার্জারী অনুষদের ডীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বিএসএমএমইউর আচার্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি হয় ।আগামী ২৪ মার্চ থেকে ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক বড়ুয়া।
বিদায়ী ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের মেয়াদ ২৩ মার্চ শেষ হবে। অধ্যাপক কনক কান্তিকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি ।
মিডিয়ার সঙ্গে আলাপে দেশের একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন ড. কনক কান্তি বড়ুয়া।
বিএসএমএমইউকে শিক্ষা, গবেষণা এবং সেবায় সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ ও নিরন্তর প্রয়াস চালাবেন বলে অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেন তিনি। মিডিয়াকে বলেন তিনি:
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিপুলসংখ্যক ডাক্তার বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে ভর্তি ও পড়াশুনা করছে। কোর্স খুলে দায়িত্ব শেষ নয় ; যথাযথ মনিটরিং করে ওই সকল কোর্সের শিক্ষার্থীরা উন্নততর প্রশিক্ষণ পেয়ে ও ভালোভাবে পড়াশুনা করে ডিগ্রি লাভ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেন, শুধু শিক্ষার্থীরাই নন, সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপকদেরকে দেশ-বিদেশে উন্নততর প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালানো হবে। কোনো চিকিৎসকের ভুলে কারণে যেন রোগীর ক্ষতি না হয় সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন ভালো শিক্ষক ও চিকিৎসক তৈরি করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবেন। এছাড়া গবেষণার প্রতিও অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করবেন।
জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীন উন্নতিই হবে তার প্রধান লক্ষ্য।
বিশিষ্টজন জানান, অধ্যাপক বড়ুয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখার সাবেক সফল সভাপতি ছিলেন। ৭৫ পরবতী' সময়ে ছাত্রলীগের সংগঠক, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা এবং বর্তমানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন উভয় সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আপনার মতামত দিন: